মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জনাব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন প্রজাতন্ত্রের গণকর্মচারীকে সবসময় জনসেবায় প্রস্তুত থাকতে হবে। এটি একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব।খুলনা বিভাগ অন্যান্য বিভগের চেয়ে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও চর্চায় অনেক এগিয়ে আছে। ভবিষ্যতেও এ ধারকে অব্যহত রাখতে হবে। এ মেলার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে কীভাবে সহজে ও দ্রুততম সময়ে সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়া যায়। তিনি আরও বলেন, এ যুগের মুল দর্শন হলো ‘গতি ও নির্ভূলতা’।এ লক্ষে সারা দেশে শুরু হয়েছে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন।এ আন্দোলনে আমাদের সবাইকে শরীক হতে হবে এবং এই বাংলাদেশকে জাতির পিতার সেই প্রত্যাশিত সোনার বাংলায় পরিনত করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও উদ্ভাবন উৎসব আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এবং খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সুভাষ চন্দ্র সাহা।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ইনোভেশন কার্যক্রমের সফল উদ্ভাবক, ইনোভেশন ও আইসিটি কর্মকান্ডে অবদান রেখেছেন এমন ২২ ক্যাটাগরিতে এমন ১০৫ জন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধান অতিথি উদ্ভাবন চর্চ্চায় খুলনা বিভাগের ৩ জন শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক দুইজন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক ৪ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র পদকপ্রাপ্ত উদ্ভাবকের হাতে সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান করেন। বিভাগীয় স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র পদকপ্রাপ্ত উদ্ভাবক যথাক্রমে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মমিন উদ্দিন, ঝিনাইদহ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উসমান গণি ও ঝিনাইদহ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. খান মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়া কৃষি প্রযুক্তি অনন্য উদ্ভাবন ক্ষেত্রে খুলনা দৌলতপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা ও লবনচরা মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেসমিন আক্তার পুরস্কৃত হন।